ত্বকের বয়সজনিত দাগ, বলিরেখা ও শুষ্কতা প্রতিরোধে যত্ন না নিলে ২০-২৫ বছর বয়স থেকেই স্কিন ড্যামেজ হতে শুরু করে। কিছু সাধারণ ভুল আমাদের ত্বকের সজীবতা নষ্ট করে, ত্বক রুক্ষ ও নির্জীব দেখায় এবং ভবিষ্যতে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি করে।
৭টি ভুল যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর:
1️⃣ সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা:
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV Ray) ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে, ত্বকের বয়স দ্রুত বাড়ায় এবং কালো দাগের সৃষ্টি করে।
সমাধান: প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে SPF ৫০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং ২-৩ ঘণ্টা পরপর পুনরায় লাগান।
2️⃣ প্রতিদিন ফেসওয়াশ না করা:
ধুলোবালি, দূষণ ও অতিরিক্ত তেল ত্বকে জমে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও ত্বকের রুক্ষতার কারণ হয়।
সমাধান: সকালে ও রাতে ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
3️⃣ অপর্যাপ্ত পানি পান করা:
ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দেখা দেয় মূলত শরীরে পানির অভাবের কারণে।
সমাধান: প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন এবং হাইড্রেটিং স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করুন।
4️⃣ অতিরিক্ত প্রসেসড ফুড ও চিনি খাওয়া:
অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয় এবং ব্রণ ও দাগের সমস্যা তৈরি করে।
সমাধান: ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন শাকসবজি, বাদাম, ডার্ক চকলেট ও ফলমূল বেশি খান।
5️⃣ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া:
ঘুমের অভাবে ত্বকে ডার্ক সার্কেল, ক্লান্তি ও বলিরেখা দেখা দেয়।
সমাধান: প্রতিরাতে ৭-৮ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন এবং রাতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
6️⃣ নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা:
ত্বক পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না পেলে দ্রুত রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে এবং বয়সের ছাপ পড়ে।
সমাধান: স্কিন টাইপ অনুযায়ী ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে।
7️⃣ স্ট্রেস ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা:
স্ট্রেস শরীরের কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বকের ব্রণ, র্যাশ ও রুক্ষতার কারণ হতে পারে।
সমাধান: প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
নিউট্রিপিউরের স্পেশাল সমাধান:
✅ Aroma Moisturiser Bundle – এই ময়েশ্চারাইজার বান্ডেলে রয়েছে এমন সব প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা যোগায় এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।
🔹 রোজ ওয়েল: হাইপার পিগমেন্টেশন কমায়, ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে এবং ত্বককে গভীর থেকে উজ্জ্বল করে।
🔹 মরিঙ্গা ওয়েল: দূষণ থেকে সুরক্ষা দেয়, ত্বককে টানটান রাখে এবং অকাল বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
🔹 জোজবা ওয়েল: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, স্কিনের টেক্সচার উন্নত করে এবং ড্রাইনেস কমায়।
🔹 টি ট্রি ওয়েল: ব্রণের জীবাণু দূর করে, ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্রেশ লুক বজায় রাখে।